দুদিন পর বেঙ্গালুরুতে শুরু হচ্ছে ১৫তম আইপিএলের মেগা নিলাম। মোট ৫৯০ জন খেলোয়াড়ের নাম নিবন্ধিত হয়েছে এই নিলামে, যার মধ্যে ৩৫৫ জন আনক্যাপড, মানে দেশের সিনিয়র জাতীয় দলের হয়ে যারা কখনো খেলেননি। এই তালিকার মধ্যে থেকে এবার প্রত্যাশা বাড়াচ্ছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা। নিলামে তাদের অংশগ্রহণ ও দাম ওঠা নিয়ে দুশ্চিন্তায় সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার।
২০১৪ সালের আইপিএল থেকে আনক্যাপড খেলোয়াড়দের নিলামে রাখার চল শুরু হয়েছে। ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারির আসন্ন নিলাম সামনে রেখেও রোমাঞ্চের আভাস পাচ্ছেন এই ক্রিকেটাররা। সস্তায় অর্জিত কাড়ি কাড়ি টাকা দিয়ে তাদের সম্ভাবনাকে যেন শেষ করে না দেওয়া হয়, সেই ব্যাপারে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে সতর্ক করলেন গাভাস্কার।
যুব বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটারসহ এই আনক্যাপড খেলোয়াড়দের জন্য সর্বোচ্চ ১ কোটি রুপি নির্ধারণ করার দাবি জানান সাবেক ব্যাটিং তারকা। তার মতে, রাতারাতি লাখপতি হওয়া তাদের ক্যারিয়ারে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সাফল্য কখনো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বা আইপিএলে সফল হওয়ার নিশ্চয়তা দেয় না।
গাভাস্কার মিড ডে’র কলামে লিখেছেন, ‘কদিন পর মেগা নিলাম হবে এবং আমাদের অনূধ্র্ব-১৯ দলের কিছু ক্রিকেটার চোখের নিমিষে কোটিপতি হয়ে যাবে। অনূধ্র্ব-১৯ পর্যায়ে ভালো করা কখনো আইপিএল কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্যের নিশ্চয়তা দেয় না। গত কয়েক বছর ধরে সেটা প্রমাণিত।’
তিনি আরো যোগ করেছেন, ‘ন্যায্য ব্যাপার হবে, আনক্যাপড খেলোয়াড়দের জন্য বেতন ১ কোটি রুপির মধ্যে সীমিত রাখা যেন তারা বুঝতে পারে আরো সামনে এগিয়ে যেতে ও আরো বেশি উপার্জন করতে অনেক পরিশ্রম করতে হবে।
সস্তায় অর্জিত অর্থ অনেক প্রতিশ্রুতিশীল প্রতিভাকে নষ্ট করেছে। এটি এমন কিছু, যা ক্রিকেট প্রশাসকদের প্রতিহত নিশ্চিত করতে হবে যেন আনক্যাপড খেলোয়াড়রা বছরের পর বছর পারফরম্যান্স করতে আগ্রহী থাকে এবং অতীতের অনেকের মতো পথের ধারে ছিটকে না যায়।
কলমকথা/সাথী
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।